বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন (বিএনসিইউ) এর বিগত এগারো বছরের উল্লেখযোগ্য অর্জন (২০০৯-২০১৯):
বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইউনেস্কো ও আইসেস্কোর সাথে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক কার্যক্রম সম্পাদন করে আসছে। ইউনেস্কো ও আইসেস্কো প্রদত্ত স্বীকৃতিসমূহের মধ্যে ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শান্তির জন্য The Felix Houphout-Boigny-UNESCO Peace Prize প্রদান করা অন্যতম অর্জন। এছাড়া ২০১৭ সালে প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৩৯তম সাধারণ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’ –এ অন্তর্ভুক্ত হয়। এছাড়া বিগত দশ বছরে বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন কর্তৃক সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য অর্জনসমূহ নিম্নরূপঃ
ঢাকায় পরপর দু’বার আন্তর্জাতিক আন্তঃধর্ম ও আন্তঃসংস্কৃতি সম্মেলন আয়োজন (২০০৯ সাল)।
কোরিয়াভিত্তিক ইউনেস্কো ক্যাটাগরি-২ সেন্টার APCEIU এবং BNCU এর যৌথ আয়োজনে ঢাকায় Education for International Understanding (EIU) Photo Class-2010 অনুষ্ঠিত (২০১০ সাল)।
ISESCO এবং BNCU এর যৌথ আয়োজনে ঢাকায় Introducing New Trends in Science Curricula and Teaching Materials শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালা অনুষ্ঠিত (২০১১ সাল)।
ঢাকায় সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিষয়ক এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন আয়োজন (২০১২ সাল)।
ঢাকা ‘ইসলামী সংস্কৃতির রাজধানী’ হিসেবে আইসেস্কো কর্তৃক ঘোষিত (২০১২ সাল)।
আহসানিয়া মিশনের ইউনেস্কো সাক্ষরতা পুরস্কার লাভ (২০১২ সাল)।
ঐতিহ্যবাহী জামদানী বুননশিল্প ইউনেস্কো’র ইনট্যান্জিবল কালচারাল হেরিটেজ–এর অন্তর্ভুক্ত (২০১৩ সাল)।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউনেস্কো’র ‘ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত (২০১৪ সাল)।
কোরিয়ান ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কো’র সহযোগিতায় ভোলা জেলার চর ফ্যাশনে সেজং লিটারেসি প্রজেক্ট বাস্তবায়িত (২০১৫ সাল)।
জাগো ফাউন্ডেশন এর ইউনেস্কো হামাদ বিন ঈসা আল খলিফা পুরস্কার অর্জন (২০১৬ সাল)।
বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন ও কোরিয়ান ন্যাশনাল কমিশন ফর ইউনেস্কো কর্তৃক যৌথভাবে ব্রিজ এশিয়া প্রোগ্রাম বাস্তবায়িত (২০১৬ সাল)।
ঐতিহ্যবাহী শীতল পার্টি বুননশিল্প ইউনেস্কো’র ইনট্যান্জিবল কালচারাল হেরিটেজ–এর অন্তর্ভুক্ত (২০১৭ সাল)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জনাব সমীর কে সাহার ইউনেস্কো ক্যারল জে ফিনলে প্রাইজ অব মাইক্রোবাইলজি অর্জন (২০১৭ সাল)।
২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর-১৪ নভেম্বর প্যারিসে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ৩৯তম সাধারণ সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ইউনেস্কোর ‘ইন্টারন্যাশনাল মেমোরি অব্ দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টার’ –এ অন্তর্ভুক্ত হয়। এ স্বীকৃতি অর্জনের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ ইউনেস্কো জাতীয় কমিশন ইউনেস্কোতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে।
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মিজ সাইফা হক ISESCO প্রবর্তিত Prize for Open Digital Educational Resources অর্জন করেন (২০১৮ সাল)।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃশ্যমান স্মারক হিসেবে INTEGRITY কর্নার স্থাপন (২০১৮ সাল)।
২০১৯ এর এপ্রিলে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কো নির্বাহী বোর্ড সভা ও অক্টোবর-নভেম্বরের সাধারন সভায় বাংলাদেশী প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে এবং ২০২০-২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য বঙ্গবধুর জন্মশতবার্ষিকী ইউনেস্কোর সকল সদস্য রাষ্ট্রসমূহে উদযাপনের মত বৃহৎ পদক্ষেপের সম্মতি অর্জন এবং বিএনসিইউ এর লজিস্টিক সহায়তা প্রদান ছিল গুরুত্বপূর্ন। তবে বর্তমান কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতিতে এ প্রক্রিয়ার কার্যকারীতা দুর্বল হয়ে পড়েছে।